ক্ষুদ্র বিজনেস ও অর্থ উপার্জন আইডিয়া।। ( বিজনেস আইডিয়া, মার্কেটিং + প্রোডাক্ট) যারা অল্প টাকায় কিছু করতে চান।।
১ টু ৯৯ শপ ঃ
মুখে যে যাই বলুন না কেন, যে কোন ব্যক্তিই উপহার পেলে খুশি হন। তাই উপহার দেয়ার রীতি ও সামাজিক ঐতিহ্য বহুদিনের। উপহারের সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি আর আবেগ। কেউবা না বলা কথা বলার জন্য বেছে নেন উপহার। সেটা যে দামের হোকনা কেনো। দেশের অনেক যায়গায় ১ টু ৯৯ শপ দেখা যায়, কিছু কিছু যায়গায় ১ টু ৯৯+ নামে শপ দেখা যায়। এখানে নাম দেখে বুঝা যায় এই শপের আইটেম সমূহের দাম কত, যাইহোক তারপরও বলছি এসব দোকানের প্রতিটি পণ্যের মূল্য সাধারণত ৯৯ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। ৯৯+ শপে কিছু প্রোডাক্ট এর দাম ৯৯ টাকার বেশিও হয়ে থাকে। যাইহোক অল্প টাকায় এসব শপে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য, খেলনা, কসমেটিক্স, গহনা, শো-পিস, গিফট আইটেম ইত্যাদি পাওয়া যায়। সবার সাধ্য এক রকম নয়। এ যুগে তাই অল্প খরচে উপহার দেবার চেষ্টা করেন অনেকে। আর এই সব চাহিদার জন্য এসব ১ টু ৯৯, ৯৯+ শপ করেছেন অনেকে। তারা যেমন অন্যদের চাহিদা পূরণ করছেন সাথে একটি স্মার্ট বিজনেসও করছেন, বেকারত্ব দূর করছেন নিজেদের। একটি ব্যবসার সৃষ্টি হচ্ছে এভাবেই। এসব শপে শিশুদের, তরুণ-তরুণী এমনকি বুড়োদেরও মন ভোলায়। বর্তমানে জনপ্রিয় শপে পরিণত হয়েছে এই ৯৯ শপ। এখানে ৯৯ শপের কিছু আইডিয়া ও ইনফো দিলাম.
৯৯ শপের প্রোডাক্টঃ
গহনাঃ
গলার সেট, চুড়ি, আংটি, ব্রেসলেট, হেয়ার বেন, ক্লিপ, মেহেদি, পায়েলসহ নানা রকম গহনা হতে পারে। আজকাল বাজারে ইমিটেশন, সিটিগোল্ড, স্টোন বসানো, স্টোন ছাড়া, প্লাস্টিকের, কাঠের, ঝিনুক-শামুকের, পোড়ামাটির, স্টিলেরসহ নানা ধরনের গহনা বাজার ঘুরলেই চোখে, কমদামের এসব কিছু আইটেম সংগ্রহ করতে পারেন। স্থানীয় ভাবে কিছু কুটির শিল্পের তৈরি গহনাও হতে পারে আপনার ৯৯ শপের পণ্য।
গিফটঃ
বিভিন্ন সামিজিক দিবসে ফুল ও কার্ড হতে পারে শ্রেষ্ঠ উপহার। এছাড়াও ফটোফ্রেম (প্লাস্টিকের, কাঠের, কাচের, পাটের, পোড়ামাটির, বাশের হতে পারে), সিরামিকের মগ ও প্লেট, ছবি প্রিন্ট ওয়াল ঘড়ি, ওয়াল ঘড়ি, হাত ঘড়ি, পুতুল, চাবির রিং, ব্যাগ, পাঞ্চ, মানিব্যাগ, খেলনা ইত্যাদি হতে পারে আপনার ৯৯ শপের গিফট জোন।
রান্নাঘরের আইটেমঃ
রান্না ঘরেও অল্প টাকার প্রয়োজনীয় অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। এগুলোর মধ্যে নাইফ, সবজি কাটার, চপার, সবজি স্লাইসার, ডাইসার, চামুচ, মগ, বাটি, প্লেট, কন্টেইনার, টিফিন বক্স, মসলার বক্স, ডাইনিং টেবিলের ম্যাট, হট ম্যাট, স্ট্যান্ড, পানির পট, লাইটার ইত্যাদি।
প্রসাধনীঃ
প্রসাধনী ব্যবহার ও গিফট হিসাবে অনেকেই খুজেন। ক্রিম, পারফিউম, বডি স্প্রে, মেহেদি, কলপ, দেশি বিদেশি সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ, মেকআপ, ক্লিঞ্জার, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, তেল, মেনিকিউর, পেডিকিউর, মেয়েদের প্রোডাক্ট, ডায়পার ইত্যাদি।
পোশাকঃ
ব্লক, বুটিক, মোজা, রুমাল, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, হ্যান্ড পেইন্ট, ব্রাশ পেইন্ট, অ্যামব্রয়ডারি, জরি-চুমকির কাজসহ নানা মনকাড়া ডিজাইনে আর লাল, কমলা, মেরুন, নীলসহ নানা রঙের পোশাক হতে পারে আপনার এই শপের আইটেম।
কনফেকশনারিঃ
চকোলেট, জেলি, বাটার, দধি, হোমমেড চকোলেট, বিস্কুট, চানাচুর, আইসক্রিম, ফ্রুট ও কেক। কেক ছাড়াও চকোলেট, বিস্কুট দিয়েও আকর্ষণীয় বাস্কেট তৈরি করা হয়ে থাকে। যারা ফল পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে সাজানো ফলের বাস্কেট। বিভিন্ন সফট ড্রিংক ও অন্যান্য খাবার দিয়ে ভরে দিতে পারেন আপনার শপের ফুড জোন।
অন্যান্যঃ
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে সময়ে সময়ে কিছু প্রোডাক্ট সংগ্রহ করতে পারেন। মৃৎ শিল্পের পণ্য, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, গ্যাজেট, স্পিকার, বই, খাতা-কলম, নোট বুক, ডাইরি, কার্ড হোল্ডার, পেন হোল্ডার, ক্যালেন্ডার, আতর, সুরমা দানি, বক্স, ফাইল, লাইট, ঝুড়ি, জুতা, স্যান্ডেল, ক্রোকারিজ, পাপোষ, খেলনা, ওয়ালমেট, ডিভিডি, গেম, mp3 প্লেয়ার, রেডিও, টিভি রিমুট, ক্যালকুলেটর, মোবাইল চারজার, ছাতা, ক্রেস্ট, ডিজিটাল তসবিহ, জায়নামাজ ইত্যাদি হতে পারে আপনার এই জোনে। এছাড়াও আরও পণ্য যোগ করতে পারেন গ্রাহকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে কিংবা উপরের তালিকার কিছু পণ্য বাদও দিতে পারেন।
কিভাবে শুরু করবেনঃ
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পন্য সংগ্রহ। পণ্য সংগ্রহ করার দক্ষতার উপর এর লাভ-ক্ষতি নির্ভর করবে। পণ্য সংগ্রহ, পরিবহন, পণ্য ডেকোরেশন, আপনার শপের অবস্থান, পণ্যের চাহিদার উপর নির্ভর করবে আপনার বিজনেস। আপনার শপের প্রচারনা থাকতে হবে, আপনার শপের ফেসবুক পেজ থাকতে পারে। দুই/ এক
জন পার্টনার বা সহকর্মী থাকতে পারে। দোকান ডেকোরেশন থাকলে লাখখানিক টাকা
দিয়েই শুরু করে দিতে পারেন একটি স্মার্ট শপ। মনে রাখবেন গ্রাহকরা হাতের
কাছে প্রত্যাশিত জিনিসপত্র প্রতিযোগিতামূলক দামে পেলে বাইরে যাবেন কেনো ?
ওয়ান টু হানড্রেড , নাইনটি নাইন, নাইনটি নাইন প্লাস, ওয়ান ফিফটি ওয়ান,
সেভেনটি ওয়ান এরকম বিভিন্ন নামেও শুরু করা যায় পণ্যের দামের উপর ভিত্তি
করে। তবে কম দামের পণ্যের উপর মানুষের আকর্ষণ বেশি থাকে।তো আপনার এই শপের
নাম কি দিচ্ছেন? বেকার তরুণদের এই রকম উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। ১ টু ৯৯
থেকে ১ টু ৪৯৯ সকল ধরনের পন্য চাইলে আমার কাছ থেকে নিতে পারেন।। ঢাকায়
ক্যাশ অন ডেলিভারী এবং সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে কন্ডিশনে প্রোডাক্ট
পাঠানো হয়।।
১ টু ৯৯ শপ ঃ
মুখে যে যাই বলুন না কেন, যে কোন ব্যক্তিই উপহার পেলে খুশি হন। তাই উপহার দেয়ার রীতি ও সামাজিক ঐতিহ্য বহুদিনের। উপহারের সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি আর আবেগ। কেউবা না বলা কথা বলার জন্য বেছে নেন উপহার। সেটা যে দামের হোকনা কেনো। দেশের অনেক যায়গায় ১ টু ৯৯ শপ দেখা যায়, কিছু কিছু যায়গায় ১ টু ৯৯+ নামে শপ দেখা যায়। এখানে নাম দেখে বুঝা যায় এই শপের আইটেম সমূহের দাম কত, যাইহোক তারপরও বলছি এসব দোকানের প্রতিটি পণ্যের মূল্য সাধারণত ৯৯ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। ৯৯+ শপে কিছু প্রোডাক্ট এর দাম ৯৯ টাকার বেশিও হয়ে থাকে। যাইহোক অল্প টাকায় এসব শপে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য, খেলনা, কসমেটিক্স, গহনা, শো-পিস, গিফট আইটেম ইত্যাদি পাওয়া যায়। সবার সাধ্য এক রকম নয়। এ যুগে তাই অল্প খরচে উপহার দেবার চেষ্টা করেন অনেকে। আর এই সব চাহিদার জন্য এসব ১ টু ৯৯, ৯৯+ শপ করেছেন অনেকে। তারা যেমন অন্যদের চাহিদা পূরণ করছেন সাথে একটি স্মার্ট বিজনেসও করছেন, বেকারত্ব দূর করছেন নিজেদের। একটি ব্যবসার সৃষ্টি হচ্ছে এভাবেই। এসব শপে শিশুদের, তরুণ-তরুণী এমনকি বুড়োদেরও মন ভোলায়। বর্তমানে জনপ্রিয় শপে পরিণত হয়েছে এই ৯৯ শপ। এখানে ৯৯ শপের কিছু আইডিয়া ও ইনফো দিলাম.
৯৯ শপের প্রোডাক্টঃ
গহনাঃ
গলার সেট, চুড়ি, আংটি, ব্রেসলেট, হেয়ার বেন, ক্লিপ, মেহেদি, পায়েলসহ নানা রকম গহনা হতে পারে। আজকাল বাজারে ইমিটেশন, সিটিগোল্ড, স্টোন বসানো, স্টোন ছাড়া, প্লাস্টিকের, কাঠের, ঝিনুক-শামুকের, পোড়ামাটির, স্টিলেরসহ নানা ধরনের গহনা বাজার ঘুরলেই চোখে, কমদামের এসব কিছু আইটেম সংগ্রহ করতে পারেন। স্থানীয় ভাবে কিছু কুটির শিল্পের তৈরি গহনাও হতে পারে আপনার ৯৯ শপের পণ্য।
গিফটঃ
বিভিন্ন সামিজিক দিবসে ফুল ও কার্ড হতে পারে শ্রেষ্ঠ উপহার। এছাড়াও ফটোফ্রেম (প্লাস্টিকের, কাঠের, কাচের, পাটের, পোড়ামাটির, বাশের হতে পারে), সিরামিকের মগ ও প্লেট, ছবি প্রিন্ট ওয়াল ঘড়ি, ওয়াল ঘড়ি, হাত ঘড়ি, পুতুল, চাবির রিং, ব্যাগ, পাঞ্চ, মানিব্যাগ, খেলনা ইত্যাদি হতে পারে আপনার ৯৯ শপের গিফট জোন।
রান্নাঘরের আইটেমঃ
রান্না ঘরেও অল্প টাকার প্রয়োজনীয় অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। এগুলোর মধ্যে নাইফ, সবজি কাটার, চপার, সবজি স্লাইসার, ডাইসার, চামুচ, মগ, বাটি, প্লেট, কন্টেইনার, টিফিন বক্স, মসলার বক্স, ডাইনিং টেবিলের ম্যাট, হট ম্যাট, স্ট্যান্ড, পানির পট, লাইটার ইত্যাদি।
প্রসাধনীঃ
প্রসাধনী ব্যবহার ও গিফট হিসাবে অনেকেই খুজেন। ক্রিম, পারফিউম, বডি স্প্রে, মেহেদি, কলপ, দেশি বিদেশি সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ, মেকআপ, ক্লিঞ্জার, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, তেল, মেনিকিউর, পেডিকিউর, মেয়েদের প্রোডাক্ট, ডায়পার ইত্যাদি।
পোশাকঃ
ব্লক, বুটিক, মোজা, রুমাল, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, হ্যান্ড পেইন্ট, ব্রাশ পেইন্ট, অ্যামব্রয়ডারি, জরি-চুমকির কাজসহ নানা মনকাড়া ডিজাইনে আর লাল, কমলা, মেরুন, নীলসহ নানা রঙের পোশাক হতে পারে আপনার এই শপের আইটেম।
কনফেকশনারিঃ
চকোলেট, জেলি, বাটার, দধি, হোমমেড চকোলেট, বিস্কুট, চানাচুর, আইসক্রিম, ফ্রুট ও কেক। কেক ছাড়াও চকোলেট, বিস্কুট দিয়েও আকর্ষণীয় বাস্কেট তৈরি করা হয়ে থাকে। যারা ফল পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে সাজানো ফলের বাস্কেট। বিভিন্ন সফট ড্রিংক ও অন্যান্য খাবার দিয়ে ভরে দিতে পারেন আপনার শপের ফুড জোন।
অন্যান্যঃ
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে সময়ে সময়ে কিছু প্রোডাক্ট সংগ্রহ করতে পারেন। মৃৎ শিল্পের পণ্য, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, গ্যাজেট, স্পিকার, বই, খাতা-কলম, নোট বুক, ডাইরি, কার্ড হোল্ডার, পেন হোল্ডার, ক্যালেন্ডার, আতর, সুরমা দানি, বক্স, ফাইল, লাইট, ঝুড়ি, জুতা, স্যান্ডেল, ক্রোকারিজ, পাপোষ, খেলনা, ওয়ালমেট, ডিভিডি, গেম, mp3 প্লেয়ার, রেডিও, টিভি রিমুট, ক্যালকুলেটর, মোবাইল চারজার, ছাতা, ক্রেস্ট, ডিজিটাল তসবিহ, জায়নামাজ ইত্যাদি হতে পারে আপনার এই জোনে। এছাড়াও আরও পণ্য যোগ করতে পারেন গ্রাহকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে কিংবা উপরের তালিকার কিছু পণ্য বাদও দিতে পারেন।
কিভাবে শুরু করবেনঃ
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পন্য সংগ্রহ। পণ্য সংগ্রহ করার দক্ষতার উপর এর লাভ-ক্ষতি নির্ভর করবে। পণ্য সংগ্রহ, পরিবহন, পণ্য ডেকোরেশন, আপনার শপের অবস্থান, পণ্যের চাহিদার উপর নির্ভর করবে আপনার বিজনেস। আপনার শপের প্রচারনা থাকতে হবে, আপনার শপের ফেসবুক পেজ থাকতে পারে। দুই/
১ম পর্ব
২৭ বছর বয়সে যখন হন্যে হয়ে ব্যাংকে চাকরি খুঁজছেন, তখন আপনারই বয়েসি কেউ
একজন সেই ব্যাংকেরই ম্যানেজার হয়ে বসে আছেন। আপনার ক্যারিয়ার যখন শুরুই
হয়নি, তখন কেউ কেউ নিজের টাকায় কেনা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে আপনার সামনে দিয়েই
চলে যাচ্ছে। কর্পোরেটে যে সবসময় চেহারা দেখে প্রমোশন দেয়, তা নয়। দিন
বদলাচ্ছে, কনসেপ্টগুলো বদলে যাচ্ছে। শুধু বেতন পাওয়ার জন্য কাজ করে গেলে
শুধু বেতনই পাবেন। কথা হল, কেন এমন হয়? সবচাইতে ভালটি সবচাইতে ভালভাবে করে
কীভাবে? কিছু ব্যাপার এক্ষেত্রে কাজ করে। দুএকটি বলছি।
প্রথমেই আসে পরিশ্রমের ব্যাপারটা। যারা আপনার চাইতে এগিয়ে, তারা আপনার
চাইতে বেশি পরিশ্রমী। এটা মেনে নিন। ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ
একসাথে পাওয়া যায় না। শুধু পরিশ্রম করলেই সব হয় না। তা-ই যদি হত, তবে গাধা
হত বনের রাজা। শুধু পরিশ্রম করা নয়, এর পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা। অনলি ইওর
রেজাল্টস্ আর রিওয়ার্ডেড, নট ইওর এফর্টস্। আপনি এক্সট্রা আওয়ার না খাটলে
এক্সট্রা মাইল এগিয়ে থাকবেন কীভাবে? সবার দিনই তো ২৪ ঘণ্টায়। আমার বন্ধুকে
দেখেছি, অন্যরা যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সে রাত জেগে আউটসোর্সিং করে। ও রাত
জাগার সুবিধা তো পাবেই! আপনি বাড়তি কী করলেন, সেটাই ঠিক করে দেবে, আপনি
বাড়তি কী পাবেন। আপনি ভিন্নকিছু করতে না পারলে আপনি ভিন্নকিছু পাবেন না।
বিল গেটস রাতারাতি বিল গেটস হননি। শুধু ভার্সিটি ড্রপআউট হলেই স্টিভ জবস
কিংবা জুকারবার্গ হওয়া যায় না। আমার মত অনার্সে ২.৭৪ সিজিপিএ পেলেই বিসিএস
আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে যাওয়া যাবে না। আউটলায়ার্স বইটি পড়ে
দেখুন। বড় মানুষের বড় প্রস্তুতি থাকে। নজরুলের প্রবন্ধগুলো পড়লে বুঝতে
পারবেন, উনি কতটা স্বশিক্ষিত ছিলেন। শুধু রুটির দোকানে চাকরিতেই নজরুল হয়
না। কিংবা স্কুলকলেজে না গেলেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাওয়া যাবে না। সবাই তো বই
বাঁধাইয়ের দোকানে চাকরি করে মাইকেল ফ্যারাডে হতে পারে না, বেশিরভাগই তো
সারাজীবন বই বাঁধাই করেই কাটিয়ে দেয়।
স্টুডেন্টলাইফে কে কী বলল, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আমাদের ব্যাচে যে ছেলেটা প্রোগ্রামিং করতেই পারত না, সে এখন একটা সফটওয়্যার ফার্মের মালিক। যাকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি, সে এখন হাজার হাজার মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। ক্যারিয়ার নিয়ে যার তেমন কোন ভাবনা ছিল না, সে সবার আগে পিএইচডি করতে আমেরিকায় গেছে। সব পরীক্ষায় মহাউত্সাহে ফেল করা ছেলেটি এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। আপনি কী পারেন, কী পারেন না, এটা অন্যকাউকে ঠিক করে দিতে দেবেন না। পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাননি? প্রাইভেটে পড়ছেন? কিংবা ন্যাশনাল ভার্সিটিতে? সবাই বলছে, আপনার লাইফটা শেষ? আমি বলি, আরে! আপনার লাইফ তো এখনো শুরুই হয়নি। আপনি কতদূর যাবেন, এটা ঠিক করে দেয়ার অন্যরা কে? লাইফটা কি ওদের নাকি? আপনাকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে কেন? কিংবা ডাক্তারি পাস করে কেন ডাক্তারিই করতে হবে? আমার পরিচিত এক ডাক্তার ফটোগ্রাফি করে মাসে আয় করে ৬-৭ লাখ টাকা। যেখানেই পড়াশোনা করেন না কেন, আপনার এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে আপনার নিজের উপর। শুধু ‘ওহ শিট’, ‘সরি বেবি’, ‘চ্যাটিংডেটিং’ দিয়ে জীবন চলবে না। আপনি যার উপর ডিপেনডেন্ট, তাকে বাদ দিয়ে নিজের অবস্থানটা কল্পনা করে দেখুন। যে গাড়িটা করে ভার্সিটিতে আসেন, ঘোরাঘুরি করেন, সেটি কি আপনার নিজের টাকায় কেনা? ওটা নিয়ে ভাব দেখান কোন আক্কেলে? একদিন আপনাকে পৃথিবীর পথে নামতে হবে। তখন আপনাকে যা যা করতে হবে, সেসব কাজ এখনই করা শুরু করুন। জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই পড়তে হয়, কিছু ভাল মুভি দেখতে হয়, কিছু ভাল মিউজিক শুনতে হয়, কিছু ভাল জায়গায় ঘুরতে হয়, কিছু ভাল মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, কিছু ভাল কাজ করতে হয়। জীবনটা শুধু হাহাহিহি করে কাটিয়ে দেয়ার জন্য নয়। একদিন যখন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, তখন দেখবেন, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে। স্কিল ডেভেলাপমেন্টের জন্য সময় দিতে হয়। এসব একদিনে কিংবা রাতারাতি হয় না। “আপনার মত করে লিখতে হলে আমাকে কী করতে হবে? আমি আপনার মত রেজাল্ট করতে চাই। আমাকে কী করতে হবে?” এটা আমি প্রায়ই শুনি। আমি বলি, “অসম্ভব পরিশ্রম করতে হবে। নো শর্টকাটস্। সরি!” রিপ্লাই আসে, “কিন্তু পড়তে যে ভাল লাগে না। কী করা যায়?” এর উত্তরটা একটু ভিন্নভাবে দিই। আপনি যখন স্কুলকলেজে পড়তেন, তখন যে সময়ে আপনার ফার্স্ট বয় বন্ধুটি পড়ার টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকত, সে সময়ে আপনি গার্লস স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এখন সময় এসেছে, ও ওখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে আর আপনি পড়ার টেবিলে বসে থাকবেন। জীবনটাকে যে সময়ে চাবুক মারতে হয়, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করলে, যে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করার কথা, সে সময়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিন। মেনে নিতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ান। এখনই সময়!
বড় হতে হলে বড় মানুষের সাথে মিশতে হয়, চলতে হয়, ওদের কথা শুনতে হয়। এক্ষেত্রে ভার্সিটিতে পড়ার সময় বন্ধু নির্বাচনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সাবকনশাস মাইন্ড আপনাকে আপনার বন্ধুদের কাজ দ্বারা প্রভাবিত করে। আমরা নিজেদের অজ্ঞাতসারেই আমাদের চাইতে ইনফেরিয়র লোকজনের সাথে ওঠাবসা করি, কারণ তখন আমরা নিজেদেরকে সুপিরিয়র ভাবতে পারি। এ ব্যাপারটা সুইসাইডাল। আশেপাশে কাউকেই বড় হতে না দেখলে বড় হওয়ার ইচ্ছে জাগে না। আরেকটা ভুল অনেকে করেন। সেটি হল, ধনীঘরের সন্তানদের সাথে মিশে নিজেকে ধনী ভাবতে শুরু করা। মানুষ তার বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। উজাড় বনে তো শেয়ালই রাজা হয়। আপনি কী শেয়ালরাজা হতে চান, নাকি সিংহরাজা হতে চান, সেটি আগে ঠিক করুন।
বিনীত হতে জানাটা মস্ত বড় একটা আর্ট। যারা অনার্সে পড়ছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই এটার অভাব রয়েছে। এখনো আপনার অহংকার করার মত কিছুই নেই, পৃথিবীর কাছে আপনি একজন নোবডি মাত্র। বিনয় ছাড়া শেখা যায় না। গুরুর কাছ থেকে শিখতে হয় গুরুর পায়ের কাছে বসে। আজকাল শিক্ষকরাও সম্মানিত হওয়ার চেষ্টা করেন না, স্টুডেন্টরাও সম্মান করতে ভুলে যাচ্ছে। আপনি মেনে নিন, আপনি ছোটো। এটাই আপনাকে এগিয়ে রাখবে। বড় মানুষকে অসম্মান করার মধ্যে কোন গৌরব নেই। নিজের প্রয়োজনেই মানুষকে সম্মান করুন।
লেখাঃ সুশান্ত পাল (৩০ তম বিসিএস মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকারী)
দ্বিতীয় পর্ব
( R¨vK gv ) : Zzwg Mixe Kvib GUv †Zvgvi Kg©dj
c„w_ex‡Z
mevB gvZ… Mf© †_‡K abKz‡ei n‡q Av‡m bv, Rxe‡b A_© e„Ë Gme cv‡eb ZLwb hLb Avcwb
cwikÖg Ki‡eb Ges wb‡R‡K †mB D”PZvq wb‡Z †Póv Ki‡eb |RbwcÖq †UªwWs mvBU Avwjevev
WU Kg Gi KY©avi Ges Pxbv †KŠwUcwZ R¨vK gv wb‡Ri AwfÁZv †_‡K wKQz civgk© w`‡q‡Qb
--
R¨vK gv e‡jb Avwg AvR †hLv‡b GK mgq Avwg GB
Ae¯’v‡b wQjvg bv | Avwg hLb Avwjevev wb‡q fve‡Z _vwK ZLb Px‡bi B›Uv‡bU `ywbqv
GZ cÖmvigvb wQj bv | Avgv‡K †¯ªv‡Zi wecix‡Z fve‡Z n‡q‡Q wKQz GKUv Kivi Rb¨ |
Avwg wb‡RB wm×všÍ wbB †h Avwg Avwjevev cÖwZôv Kie |Avgv‡K Avgvi cwievi Ges
eÜ-ev܇ei mv‡_ em‡Z n‡q‡Q |mevi mv‡_ Av‡jvPbv Ki‡Z n‡q‡Q |Avwg 25 Rb eÜz‡K
Avgvi evmvq `vIqvZ w`jvg |Zv‡`i Avwg
Avgvi cwiKíbv Rvbvjvg | Zv‡`i g‡a¨ 24
RbB ejj Zywg fzj KiQ | †Zvgvi Gfv‡e wPšÍv KivB fzj, †hLv‡b Px‡b B›Uv‡bU
e¨env‡ii my‡hvM †bB †ekxifvM gvby‡li ‡mLv‡b Zywg GB ‡m±i wbqv KvR Ki‡e Ges fwel¨r Mo‡e Ggb wPšÍv Ki‡ZB
cvibv |mevi gv‡S Avgvi GK eÜz Avgv‡K e‡j- Ó Zzwg hv Ki‡Z PvI gb †_‡K ZvB Ki,
†Póv K‡i †`‡Lv jÿ¨ wVK _vK‡j mvdj¨ Avm‡eB Ó ||
R¨vK gv e‡jb- Avwg nZvk nBwb ,‡hLv‡b Avgvi 25 Rb eÜzi g‡a¨ 24 RbB Avgv‡K
Avwjevev wb‡q KvR Ki‡Z bv K‡i , †mLv‡b Avwg Avgvi jÿ¨ wb‡qB GwM‡q hvB |Avwg
j‡ÿ¨ w¯’i _vwK | AvR Avwjevev Avgv‡K GB ch©‡q Av‡bwb eis AvwgB Avwjevev †K GB
ch©v‡q wb‡q G‡mwQ|Avgv‡K †KD nv‡Z awi‡q w`‡e bv wKQz, Avgv‡K nv‡Z awi‡q †bqv
Rvb‡Z n‡e, †Póv Ki‡Z n‡e |wb‡Ri hyeK mgqUv †K cÖK„Z Kv‡R jvMv‡Z n‡e |
R¨vK gv hye mgv‡Ri Rb¨ wKQz Dw³ K‡ib- hviv wb‡Riv wKQz GKUv K‡i †`Lv‡Z Pvb
----
wZwb e‡jb †Zvgv‡K aYx n‡Z n‡j Aek¨B GBme †g‡b Pj‡Z n‡e Z‡eB Zywg GwM‡q hv‡e
wb‡Ri D`¨‡g | wZbvi Dw³¸‡jv wQj GiKg –
Avcbvi `wi`ª n‡q Rb¥v‡bvUv †`v‡li wKQz bv wKš‘ `wi`ª n‡q
_vKvUvB ‡`v‡li ------ Avcwb hw` GKwU `wi`ª N‡i Rb¥ wb‡q wb‡Ri 35 eQi eq‡mI `wi`ª _v‡Kb Z‡e `wi`ª n‡q _vKvUv Avcbvi Kcv‡ji †`vl bq, Avcwb GwU cÖZ¨vkv K‡ib |Kvib Avcwb Avcbvi hyeK eqm‡K ‡Kvb Kv‡R jvMv‡Z cv‡ibwb, Avcwb m¤úyY© fv‡e mgqUv bó K‡i w`‡q‡Qb |
- Rxe‡b A‡bK Dc‡i DV‡Z n‡j 25 eQi †_‡KB ïiæ Kiæb, wb‡R cwiKíbv Kiæb,ZvB Kiæb hv Avcwb Dc‡fvM Ki‡Z Rv‡bb |
- GwM‡q hvI Zv bv n‡j N‡i wd‡i hvI |
- Avcwb Mixe KviY Avcbvi `yi`wk©Zvi Afve |
- Avcwb `wi`ª KviY Avcwb wb‡Ri fxiæZv‡K Rq Ki‡Z cv‡ibwb |
- Avcwb Mixe Kvib Avcbvi m‡e©v”P ÿgZv e¨envi Ki‡Z cv‡ibwb |
- Avcwb `wi`ª ZvB mevB Avc‡mvm Ki‡e, †KIB Avcbv‡K ¯^”Qj evwb‡q w`‡e bv |
- Avcwb wb‡R 35 eQi eq‡mI hLb ‡Kvb DbœwZ Ki‡Z cvi‡eb bv mevB Avcbv‡K Dcnvm wVKB Ki‡e wKš‘y †KDB Avcbv‡K nvZ a‡i GwM‡q wb‡q hv‡e bv |
৩য় পর্ব
সাধারণ জীবনযাপন থেকে আমরা সবাই সফল হতে চাই। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেই তো আর হয় না, কিছু উপায় করতে হয়। জেনে নিন সফল হওয়ার দশ উপায়–
১) আগে ঠিক করুন কোন ধরনের বড়লোক হতে চান– আগে ঠিক করুন কোন ধরনের বড়লোক হতে চান। মানে ব্যবসার মাধ্যমে নাকি চাকরি করে। বড়লোক মানে প্রচুর টাকার মালিক নাকি বড় মনের মানুষ। সে সবগুলো আগে ঠিক করুন। ব্যবসা করে বড় কিছু করতে হলে ধাপে ধাপে ওঠার চেষ্টা করুন। লাভের টাকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিনিয়োগ করুন। একটা ব্যবসায় আটকে না থেকে ধীরে ধীরে অনেক কিছুতে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করুন। চাকরি করে বড়লোক হতে হলে আগে টিম লিড করতে শিখুন। কাজের পাশাপাশি নতুন আইডিয়া নিয়ে আসুন। অফিসের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বসকে নিজের কাজের ভাল দিকটা বোঝানোর চেষ্টা করুন–
২) স্বপ্ন দেখুন দোষ নেই, কিন্তু সবার আগে সঠিক পরিকল্পনা করুন– বড়লোক হব এমন স্বপ্ন দেখাটা ভাল। হ্যাঁ, ছেঁড়া কাঁথাতে শুয়ে থেকেও লাখ টাকার স্বপ্ন দেখাও ভাল। কারণ আগে কোনও কিছু করতে হলে স্বপ্ন দেখতে হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে আগে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। ডায়েরিতে সময় ঠিক করে পরিকল্পনা করুন। ধরুন লিখলেন এক বছরের মধ্যে এক লাখ টাকা জমাতে চান। তারপর স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ। দশ মাস পর হিসেব করে নিন পরিকল্পনা ঠিক দিকে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না।
৩) সময়কে কাজে লাগান, বিনিয়োগ করার আগে ভাবুন-দিনের ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করে নিন। রোজগার করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি করতে হবে সময় পরিকল্পনা। ধরা যাক আপনি চাকরি করেন। মানে ৯-১০ ঘণ্টা আপনি কাজে ব্যস্ত, তারপরের সময়টা কাজে লাগান। ছোট কোনও ব্যবসা থেকে শুরু করুন। টিউশনিও খারাপ অপশন নয়। যে অতিরিক্ত সময়টা কাজ করছেন সেই টাকাটা বিনিয়োগ করুন। ভুলে যাবেন না বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু হয়।
৪) চোখ কান খোলা রাখুন, রোজগারের পন্থা আসতে পারে যে কোনও জায়গা থেকে– সব সময় চোখ কান খোলা রাখুন। যে কোনও আলোচনা থেকে বড় কোনও রোজগারের একটা দিশা তৈরি হতে পারে। কখনও ভাববেন না ওটা আমার কাজ নয়। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ পর্যন্ত বলেছেন, চোখ কান খোলা না থাকলে তিনি কখনই ফেসবুক খুলতে পারতেন না। ইন্টারনেটটা খুব ভাল করে ঘেঁটে ফেলনু। গোটা দুনিয়াটা লুকিয়ে আছে নেট দুনিয়ায়। সেখান থেকে রোজগারের পন্থা বের করুন। মাথা খাঁটান।
৫) পড়াশোনা, কোর্স করে নিজের যোগ্যতা বাড়ান, এতে পদোন্নতি হবে সবদিকে– পড়াশোনা চালিয়া যান। আপনার যা যোগ্যতা সেটা সবসময় বাড়িয়ে চলুন। বিএ পাশ হলে এমএ করুন। মাস্টার ডিগ্রি থাকলে পিএইচি করুন। যুগপোযোগি কোর্স করুন। এতে একদিকে আপনার সিভি ভারী হবে, আপনার যোগ্যতা বাড়বে। তার চেয়েও বড় কথা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। রোজগারের আরও অনেক পথ বাড়বে। বিভিন্ন কোম্পানিতে লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব আসবে।
৬) শুধু পছন্দসই চাকরি নয়, চাকরির জায়গাটাকেও গুরুত্ব দিন–শুধু পছন্দসই চাকরিতে পেয়েছেন বলেই আত্মহারা হবেন না। চাকরির জায়গাটাও গুরুত্ব দিন। ধরুন আপনি চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাহলে চেষ্টা করুন এই কাজের সেরা জায়গায় কাজ করতে। এটা ঠিক যোগ্যতা থাকলে যে কোনও জায়গা থেকে উজ্জ্বল হওয়া যায়। তবে এটাও ঠিক অনেক সময় পেশাদার আবহ আপনার কাছ থেকে সেরাটা বের করে নেয়। তাই একেবারে সেরা জায়গায় কাজ করলে আপনার সেরাটা দেওয়া যায়। তাই সেরাটা পাওয়ায় যায়।
৭) একই চাকরিতে বছরের পর বছর আটকে না থেকে ভাল সুযোগ পেলে নতুন জায়গায় যান– বছরের পর বছর একই কোম্পানিতে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু এই কথা ভেবে ‘যাক চলে যাচ্ছে, রোজগার তো করছি, খেতে তো পাচ্ছি’। এভাবে না ভেবে সুযোগ তৈরি করুন, সুযোগ কাজে লাগান। কোম্পানি পরিবর্তন করলে একদিকে মাইনে, পদ বাড়ে, অন্যদিকে বাড়ে আত্মবিশ্বাস, আসে নতুন কিছু করার মানসিকতা। তাই ভাল সুযোগ পেলে নতুন জায়গায় যান।
৮) খরচের জায়গাগুলো একটু ভাল করে খেয়াল করুন–আপনি হয়তো ভাল রোজগার করছেন। কিন্তু মাসের শেষে দেখছেন সেই ভাঁড়ে মা ভবানি অবস্থা। তাহলে এক কাজ করুন দেখুন তো আপনার খরচগুলো ঠিক কোথায় কোথছায় হচ্ছে। আচ্ছা, আপনার লাইফস্টাইলটা কী একটু বড়লোকি হয়ে যাচ্ছে না। হয়তো এর চেয়ে একটু কম খরচ হলেও আপনার চলে যায়। এসবই আপনি বুঝতে পারবেন যদি খরচের জায়গাগুলো একটু লিখে রাখেন। দেখবেন পরে চোখ বোলালে বুঝবেন কোন জায়গাগুলো একটু চেক করতে হবে।
৯) ব্যতিক্রমি কিছু ব্যবসা-বিনিয়োগের কথা ভাবুন– দুনিয়ার বেশিরভাগ বড়লোক মানুষই ব্যতিক্রমী কিছু ভাবনার ওপর ভর করে ব্যবসা করেই নিজেদের ওপরে নিয়ে গিয়েছেন। আচ্ছা একবার ভাবুন scotch brite-এর কথা। আগে তো আমারা এমনি ন্যাকড়া দিয়েই বাসনপত্র মাজতাম। কিন্তু কেউ একজন ভেবেছিলেন এমন একটা কিছু আনতে হবে যা দিয়ে ন্যাকড়াকে বদলে অ্য অভ্যাস করানো যায়। কিংবা ধরুন আজকালকার অনলাইন শপিং। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মালিকরাও ব্যতিক্রমি ভেবেছিলেন। আপনিও ভাবুন, পড়ুন, দেখুন। নতুন ব্যবসার ভাবনা লুকিয়ে আছে আমাদের চোখের সামনে, শুধু আমরা সেটা দেখতে পারছি না। এই ভাবনা, আর তারপর সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ওপরেই আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
১০) টাকার পিছনে ছুটবেন না, টাকাকে নিজের পিছনে ছোটান– বড়লোক হতে গেলে টাকার পিছনে ছুটলেই চলে না। দেখবেন ঠিক পরিকল্পনা করে চলে টাকাই আপনার পিছনে ছুটবে। আচ্ছা নিন একটা ঘটনমা বলি। বিল গেটসের। বিল গেটস একদিন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন লেকচার দিতে। অনেক কথা ছাত্রদের সঙ্গে শেয়ার করার পর যখন বিলের বক্তৃতা শেষ হল, তখন হঠাত্ই তাঁর পকেট থেকে ১০ ডলার পরে গেল। বিল কিন্তু সে টাকাটা কুড়োলেন না। সবাই তখন অবাক হয়েছিলেন। বিল কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ওই টাকা কুড়োতে যত সময় খরচ হল, ওই সময় ব্য করে তিনি তার চেয়ে বেশি টাকা রোজগার করতে পারেন। নিজেকে এমনভাবেই তৈরি করুন। শুধু টাকার পিছনে ছুটবেন না। সময়কে, কাজকে উপভোগ করে কাজ করুন।
মোঃ আরিফুল ইসালাম
বিস্ময় ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা। খানিক টা অস্তিত্ত্বের তাগিদে আর দেশের জন্য
বাংলা ভাষায় কিছু করার উদ্যেগেই ২০১৩ সালে তার হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে
বিস্ময় ডট কম। বর্তমানে ইন্টারনেট ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে তরুন
উদ্যোক্তাদের সাপোর্টিং রোল মডেল হিসেবে কাজ করছেন। পেশাগত ভাবে
প্রোগ্রামার।
৩৬ বিসিএস : ২ সপ্তাহে প্রিলি প্রস্তুতি
[ফাঁকিবাজদের জন্য প্রিলি প্রস্তুতি]
১৮ দিনে খাল পার; I mean প্রিলি পার…
সবাই বলে কি কি পড়তে হবে; আসলে প্রিলি পাশ করতে হলে জানতে হবে কি কি বাদ দিয়ে পড়তে হবে। আমি আজ আলোচনা করবো কি কি বাদ দিয়ে পড়তে হবে !
মূল জোর দিতে হবেঃ
১। বাংলা সাহিত্য ও গ্রামার
২। ইংরেজি গ্রামার
৩। গনিত
৪। মানসিক দক্ষতা
৫। কম্পিউটার
৬। বিজ্ঞান
====== বাংলা======
সাহিত্যঃপ্রাচীন ও মধ্যযুগ, আধুনিক (১৮০০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সাহিত্যিকদের সাহিত্য কর্ম ও ব্যক্তিগত বিষয়াবলী) ছাড়া খুব আধুনিক গুলো চোখ বন্ধ করে বাদ !
প্রাচীন ও মধ্যযুগের সাহিত্যিক ও সাহিত্য নির্দিষ্ট তাই পরিমাণে ছোট এবং নিশ্চিত ভাবেই ৫ নম্বর পাওয়া যায়। আর ১৯৭৫ এর আগেই বাংলা সাহিত্যে মহাপুরুষরা এসে গেছেন, হয়ে গেছে আমাদের ভাষা আন্দোলন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ! তাই ১৯৭৫ এর পরের সাহিত্যিকদের মধ্য থেকে যা আসবে হয়তো এমনি ২-৩ টা পারবো, গেলই না হয় ২-৩ মার্কস… তাঁর জন্য কি জীবন দিয়ে দিতে হবে?
ব্যকরণঃ প্রত্যয় ও সমাস বাদ… ২ মার্কস এর জন্য এতো এতো পড়া লাগবে?
====== ইংরেজি =====
গ্রামারঃSynonymy and Antonym, Word Meaning বাদ… গেলোই না হয় ২-৩-৪ মার্কস !! কিন্তু এইগুলার জন্য যে পরিমাণ খাটতে হয়– অন্য জায়গায় এই সময় দিলে ১০ মার্কস পাওয়া সম্ভব ! তাছাড়া ভাগ্য ভালো থাকলে Synonymy and Antonym, Word Meaning থেকে ২-১ টা পেরেও যেতে পারেন !
সাহিত্যঃ
শুধু মেইন মেইন ইংরেজি সাহিত্যিকদের বিখ্যাত কিছু সাহিত্য কর্ম আর তাদের বিখ্যাত উক্তি ছাড়া বাকি সব বাদ… যদি প্রশ্ন সহজ করে তাহলে এই বিখ্যাত সাহিত্যিকদের মধ্য থেকেই আসবে, না হলে সবাই মুড়ি খাবে নিশ্চিত থাকেন ! এই জন্য সবচেয়ে সহজ পন্থা হচ্ছে… ইংরেজি সাহিত্য থেকে বিগত সালে বিসিএস সহ অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারি পরীক্ষায় যে প্রশ্ন গুলো এসেছে শুধু সেগুলাই ভালো করে পড়ে ফেলেন। এতো গভীরে যাবার কোন দরকার নাই !
====== কম্পিউটার ====
সবচেয়ে সহজ একটা বিষয়। মন লাগিয়ে ২-৩ বার পড়লে এই বিষয়ে মার্কস না উঠানো
কঠিন হয়ে পড়বে আপনার জন্য, কারন আপনি সবই পারবেন ! তাই এই বিষয়ে খুব খুব
জোর দিন !! এখানে কিছু বাদ দিবেন না। যদি দিতেই চান তাহলে বিভিন্ন মোবাইল
প্রজন্ম এবং বর্তমানে কি ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু ইত্যাদি টাইপ বোরিং
টপিক বাদ দিতে পারেন। বড় জোর ১ মার্কস কম পাবেন !!
====== গনিত =====
পাটিগণিত চোখ বন্ধ করে বাদ !! কেন বাদ?পাটিগণিতের সিলেবাসটা একটু স্মরণ করিয়ে দেইঃ বাস্তব সংখ্যা, ল সা গু, গ সা গু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, আনুপাত ও সমানুপাত, লাভ ও ক্ষতি… যে কোন গনিতের প্রিলি গাইড নেন, দেখবেন এই পাটিগণিতের সিলেবাস বইয়ের অর্ধেকটা নিয়ে ফেলেছে, অথচ এই সব গুলো টপিকস মিলিয়ে মার্কস কতো জানেন? মাত্র ৩…… !!! এই ৩ মার্কসের জন্য শহীদ হয়ে যাব নাকি ভাই? অথচ পাটিগণিত বাদ দিয়ে যে বিশাল পরিমাণ সময় সেভ হয়, সেই সময়ে গনিতের বাকি সিলেবাসের টপিকস গুলো প্র্যক্তিস করুন বার বার। আর ভাগ্য ভালো থাকলে, পাটিগণিতের ২-১ টা এমনকি খুব ভাগ্য ভালো থাকলে ৩ টাই এমনি পেরে যেতে পারেন !!
আর বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা কঠিন লাগে? এগুলা আসলে অনেক সহজ… আপনি সাইন্স এর বিশেষ করে ইন্টার যাদের সাইন্স ছিল তাদের কাছে ৩-৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে ব্যাপারটা বুঝে ফেলুন ! দেখবেন পানি পানি লাগছে !
==== মানসিক দক্ষতা ====
ভাষাগত যৌক্তিক বিচার এবং বানান ও ভাষা এই দুইটা টপিকস আপনি বাংলা ও ইংরেজি
ব্যাকরণ পড়ার সময় যতটুকু পড়ে ফেলবেন সেটাই যথেষ্ট, এর জন্য বেশি সময় দেয়া
প্রয়োজন নাই !! বাকি গুলাও গনিত করার সময় মোটামুটি পড়ে ফেলা হয়ে যায় !
মানসিক দক্ষতা কিছুটা কমন সেন্স আর কিছুটা প্র্যাকটিস এর সমন্বয়ে ভালো করা
যায় !বাজার থেকে শুধু মানসিক দক্ষতার উপর একটা বই কিনে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা প্র্যাকটিস করুন ! আশা করি ১৫ এর মধ্যে ১২-১৩ টা পেয়ে যাবেন, ১০ টা হলেও কিন্তু মন্দ না !
===== বিজ্ঞান =====
বিজ্ঞানে তিনটা পার্ট। প্রতি পার্টে ৫ নম্বর করে মোট ১৫ মার্কস। এর মধ্যে
‘ভৌত বিজ্ঞান’ পার্টটা সবচেয়ে বড় ! পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানের
সমন্বয়ে গড়া এই পার্টে মাত্র ৫ মার্কস… অথচ বিশাল সিলেবাস। আমরা যেহেতু
ফাঁকিবাজ… তাই এই পার্ট আমরা পড়বো না ! আর যদি খুব পড়তে মন চায়, তাহলে শুধু
বিগত সালের বিভিন্ন সরকারী চাকরী পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন গুলোই পড়বো… গভীরে
যাব না !বাকি দুইটি পার্টঃ ‘জীব বিজ্ঞান’ ও ‘আধুনিক বিজ্ঞান’ তুলনামূলক ছোট এবং সহজ ! এই দুই পার্টে একটু সময় দেন !
===== বাংলাদেশ বিষয়াবলী ====
ইংরেজি শাসন আমল থেকে মুক্তিযুদ্ধ পড়বো, বাকি গুলা বাদ !অর্থনৈতিক সমীক্ষার মূল মূল তথ্য গুলো পড়বো ! গভীরে যাবার দরকার নাই।
বাংলাদেশের সংবিধান পড়তেই হবে ! তবে বেছে বেছে… সব নয় ! বিশেষ করে ১-৪৭ ধারা, ৬৪, ৬৬, ৭৭, ৯৩, ৯৪, ১১৭, ১১৮,১১৯, ১২৭, ১৩৭, সংশোধনী– ১ম থেকে ৫ম, ৮ম, ১৫তম, ১৬ তম !!
আর জুন মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাম্প্রতিক তথ্য গুলো !
অবশ্যই অবশ্যই মোদীর ঢাকা সফর, ছিট মহল, BBIN, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ইত্যাদি সরকারের উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য টপিকস গুলো পড়বেন !
===== আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ====
জুন মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাম্প্রতিক তথ্য গুলো খুব খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়বো !আর ‘আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি’ এবং ‘আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি’ ছাড়া বাকি সব বাদ…
==== ভূগোল ও পরিবেশ ====
সামাদ ভাই একটা PDF করেছেন এই বিষয়ের উপর ! ওইটাই উল্টে পাল্টে ৩ বার পড়েন ! আর কিছু লাগবে না !
==== নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ====
এই টপিক এ যত পারেন কম উত্তর করবেন ! উত্তর গুলো কেমন যেন থাকে ! তাই ভুল
করার চান্স থাকে… কমন সেন্স থেকে 4-5 টা এমনি পারবেন, তবুও চাইলে বিগত বছরে
আসা প্রশ্ন গুলো চোখ বুলাতে পারেন ! তবে যারা একটু আঁতেল, তাঁরা চাইলে
প্রফেসর মোজাম্মেল হক এর জুন মাসে আসা নতুন বই ‘পৌরনিতি ও সুশাসন’ প্রথম
পত্র বইটার ১ম ও ২য় অধ্যায় দেখতে পারেন !———————————————————————————————
২০০ মার্কের প্রিলি, আপনি চাইলেও ১৪০ টার বেশি পারবেন না !! আর কাট মার্কস এবার ১০০- ১১০ এর কম থাকবে… তাই দুনিয়া পড়ে লাভ নাই ! টার্গেট রাখেন ১১০… তাই আপনি কোন কোন বিষয় বেশি পারেন সেটা ঠিক করে আর নম্বর বণ্টন দেখে একটা প্ল্যান তৈরি করে মাঠে নেমে পড়ুন !!
ঘড়ি কিন্তু চলছে… টিক টিক টিক…
লেখাঃ এফ. এম. আশ্রাফুল আউয়াল রানা
This article are supper help full if you want to know more about Job Expert then please click here.
ReplyDelete